উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৩ লক্ষ ৫৯ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ অংশগ্রহণ করেছে। তাদের পরীক্ষার খাতা গুলো দেখা প্রায় শেষের দিকে।
প্রথম দিকে যে পরীক্ষাগুলো হয়েছিল তার খাতা শিক্ষকদের কাছে অনেক আগেই পৌঁছে গেছিল।
সেই খাতাগুলোর উত্তর তারা দেখেছে এবং নম্বর প্রদান করেছেন। কত নম্বর শিক্ষকরা এখানে শিক্ষার্থীদের কে বাড়িয়ে খাতা গুলো দেখেছে,
এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য আমাদেরকে জানিয়েছে। যে বিষয়গুলো নিয়ে মূলত আজকে আমরা আলোচনা করব।
আর পড়ুনঃ
- এইচএসসি রেজাল্ট ২০২৩ কবে প্রকাশ হবে ?
- অনেক শিক্ষার্থী ফেল – কিন্তু কোন বিষয়ে ? এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩
- এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ নিয়ে সুখবর দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- কত নম্বর বাড়িয়ে খাতা দেখছে শিক্ষক – এইচএসসি ২০২৩
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সব সময় পরীক্ষার খাতা গুলো যেন সহজ ভাবে দেখা হয় এবং সেরকম ভাবে শিক্ষকদেরকে নির্দেশনা প্রদান করে থাকে।
চলতি এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হয়নি। শিক্ষকদেরকে নির্দেশনা দিয়েছিল তারা যেন স্বাভাবিকভাবে মূল্যায়ন করে।
যে যত নম্বর পাওয়া যোগ্য তাকে যেন কত নম্বর প্রদান করা হয়। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে জন্য শিক্ষার্থীদেরকে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়
অর্থাৎ যদি শিক্ষার্থী দুই এক নাম্বারের কারণে যেন ফেল করে তাদেরকে যেন তারা আরো একবার খাতাগুলো দেখে
এবং ভিতরে যদি নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে নম্বর বাড়িয়ে পাশ করিয়ে দেয়। মূলত শিক্ষকরা
200 থেকে 300 পরীক্ষার খাতায় পেয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছে।
সেখানে 10 থেকে 15 জন শিক্ষার্থীর খাতা এমনভাবে রয়েছে, যেখানে দুই এক নম্বর বাড়িয়ে দিলে শিক্ষার্থীরা পাস করবে।
এক্ষেত্রে শিক্ষকরা বলেন আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদেরকে সহযোগিতা করার, আমরা দুই এক নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি।
আর পড়ুনঃ
- এইচএসসি রেজাল্ট ২০২৩ কবে প্রকাশ হবে ?
- অনেক শিক্ষার্থী ফেল – কিন্তু কোন বিষয়ে ? এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩
- এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ নিয়ে সুখবর দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- কত নম্বর বাড়িয়ে খাতা দেখছে শিক্ষক – এইচএসসি ২০২৩
যাদের খাতায় আমরা নম্বর বাড়িয়ে দিতে পেরেছি তাদেরকে আমরা বাড়িয়ে দিয়েছি। বিশেষ করে বাংলা দ্বিতীয় পত্র,
ইংরেজি প্রথম পত্র এবং দ্বিতীয় পত্রের ক্ষেত্রে যেহেতু পাশের বিষয়টি সম্পূর্ণ আমাদের হাতে রয়েছে।
তাই আমরা এখানে অনেক শিক্ষার্থী কি পাস করে দিয়েছে, হয়তোবা তাদের ভালো নম্বর আসেনি কিন্তু ফেল করিনি তারা।
এছাড়া শিক্ষকরা বলেন আমরা যে সকল খাতা হাতে পেয়েছি সেখানে পাশের হার ভালো ছিল ১০০ খাতার মধ্যে ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছে।
আমরা যে বান্ডিল পেয়েছি ৩০০ থেকে ৩৫০ থাকে সেখানে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছে।
সে খাতা গুলো আমরা আরো একবার দেখছি, যাতে করে তাদেরকে পাশ করে দেওয়া যায় কিনাতেমনটা আমরা চেষ্টা করছি।
তবে কতটুকু সম্ভব হবে সেটা আমরা এখন বলতে পারছি না, যারা লিখেছে পর্যাপ্ত তাদেরকে তোমরা পাশ করে দেওয়ার চেষ্টা করব।