করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে – শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি লকডাউন দিবে ?
বর্তমানে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং কোরবানি ঈদের কারণে এক্ষেত্রে আগামী 19 জুলাই পরবর্তীতে মূলত স্কুল কলেজ গুলো খুলে দেয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় 15 থেকে 16 দিনের মতো গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং কোরবানি ঈদে ছুটি পাবে।
এক্ষেত্রে বর্তমানে সারা দেশের অবস্থা খুবই খারাপ বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে এবং রোগী মৃত্যু হার বেড়েছে।
সেদিক থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহে করনা রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যু অনেক বেড়েছে।
আরও পড়ুনঃ স্থগিত এসএসসি পরীক্ষা ২০২২ কবে হবে ? এইমাত্র জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয়
তাছাড়া করোনা সংক্রমণ হার এখন বর্তমানে 15 শতাংশের উপরে রয়েছে। এই অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
বন্ধ নিয়ে শিক্ষার্থীরা টেনশনে রয়েছে এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে 2020 সালের মার্চ মাসে করোনা সংক্রমনের প্রথম বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
তখন থেকে প্রায় 17 মাসের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল এর পরবর্তীতে 2021 সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষাবর্ষের খুলে দেয়া হলেও ।
পরবর্তীতে তা বিভিন্ন কারণে আবার বন্ধ করে দেয়া হয় বর্তমানে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে স্বাভাবিক নিয়মে।
কিন্তু 2022 সালের জুন মাসের শেষের দিকে করোনা সংক্রমণ হার অনেক বেড়েছে ।
এই অবস্থায় বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা গুলো আয়োজন করা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে ।
তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লকডাউন দেবে কি না তা নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় রয়েছে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ব্যাপারে কথা হচ্ছে না।
কারণ শিক্ষার্থীদের সবাইকে টিকার আওত্তায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছে।
আশা করি সকল শিক্ষার্থী টিকা দিবে তাছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ে টিকার কার্যক্রম চলছে।
খুব শীঘ্রই সকল শিক্ষার্থী টিকার আওতায় চলে আসলে আশাকরি স্কুল-কলেজ বন্ধ করার বিষয়টি আসবে না।
এক্ষেত্রে দীপু মনি আরো বলেন বর্তমানে করোনা সংক্রমণ নিয়ে আমরা ভাবছি না ।
স্বাভাবিক নিয়মে ক্লাস কার্যক্রম চলবে যদি দরকার হয় তখন হয়তো বা আরো বেশ কিছু নির্দেশনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পালন করতে হবে।
বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মাক্স পড়ে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে
এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সকল বিষয়গুলো যথাযথভাবে পালন করে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা বলা হয়েছে।