সকল খবর

ডেঙ্গু হলে কিভাবে বুঝবেন ? ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

বর্তমানে সারাদেশে ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ বেড়েছে নতুন করে প্রতিদিন অনেক মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে এবং অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে

এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণের উচিত ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া। এ ক্ষেত্রে কি কি করতে হবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে

এবং ডেঙ্গু হলে কিভাবে আপনি বুঝবেন অর্থাৎ ডেঙ্গু লক্ষণ ও কিভাবে ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হবেন তা আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

আরও পড়ুনঃ পরীক্ষার খাতা দ্রুত ও সুন্দর লিখে ভালো রেজাল্ট করার কৌশল

মানুষের স্বাভাবিক ভাবে জ্বর আসতে পারে কিন্তু তা ডেঙ্গু জ্বর কিনা বোঝার জন্য বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে।

তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শরীরের শীতলতা অনুভব করা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, প্রচন্ড মাথা ব্যাথা,

চোখের পিছনে ব্যথা করা, নিচে পিঠে ব্যথা করা, চোখের পেশি ব্যথা করা হাড়ের সংযোগস্থলের ব্যথা করা,

হালকা কাশি ত্বক ও চোখ লাল হয়ে যাওয়া। তাছাড়া ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ হিসেবে 99 থেকে 106 ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর উঠতে পারে।

জ্বরটা নাও থাকতে পারে আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পরবর্তীতে আবার জ্বর আসতে পারে।

তার সঙ্গে শরীর ব্যথা মাথা ব্যাথা চোখের পেছনে ব্যথা তো রয়েছেই, এই লক্ষণগুলো থাকলে ধরে নিতে হবে তার ডেঙ্গু হয়েছে।

ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসাঃ

কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব।

  • বিশ্রাম নিন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন অথবা তরলজাতীয় খাবার খান। এর কারণে মাথাব্যথা ও পেশি ব্যথা কম হবে।
  • প্লাটিলেট এর সংখ্যা বাড়াতে পেঁপের রস পান করতে পারেন, কারন ডেঙ্গু রোগের প্লাটিলেট কমে যাবে।
  • পেয়ারার শরবত পান করুন। এটি পানীয় ভিটামিন সি শক্তিশালী করে রোগ দমন তন্ত্রকে শক্তিশালী করে ডেঙ্গু সংক্রমণে সাহায্য করবে।
  • এক মগ গরম পানিতে বিজিএফ পানি এটি ঠাণ্ডা করে পান করুন এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে ও রোগ সংক্রমণের থেকে সুস্থ করতে সাহায্য করবে।
  • রক্তের প্লাটিলেট বাড়াতে নিম পাতার রস পান করতে পারেন। এটি রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে নিম পাতা রোগ দমন ক্ষমতা বর্ধক শক্তি আছে।
  • তুলসীপাতা কে গোলমরিচের সঙ্গে পানিতে সিদ্ধ করে পানি ঠান্ডা করে পান করতে পারেন এটি সংক্রমণ বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
  • ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিদিন সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ আটটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে।
  • কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি লিভার এবং কিডনির সংক্রান্ত জটিলতায় থাকে তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডেঙ্গু হলে যে কাজগুলো করা যাবে নাঃ

  • ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে প্লাটিলেট এখন আর মূল বিষয় নয়। তাই প্লাটিলেট কত আছে এটা নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।
  • প্লাটিলেট 10000 এর নিচে নামলে শরীরে কোন জায়গা থেকে রক্ত বের হলে প্রয়োজন বোধ করে করলে প্লাটিলেট বা ফ্রেশ রক্ত দেওয়া যেতে পারে।
  • এ ধরনের পরিস্থিতি খুবই কম দেখা যায়। জ্বর কমে যাওয়ার পর সংকটকাল পেরিয়ে গেলে আপনা আপনি থেকে প্লাটিলেট বাড়তে শুরু করে।
  • জ্বরের শেষের দিকে রক্তচাপ কমে যেতে পারে অথবা মলদ্বার দিয়ে রক্ত বের হতে পারে
  • এ রকম হলে প্রয়োজনে শিরাপথে সেলাইন দেওয়া লাগতে পারে এসব ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

Related Articles

Back to top button