পড়াশোনার টিপস

সহজে পড়া মুখস্থ করার ১০ টি অসাধারন কৌশল – Study Tips

একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাইলে অবশ্যই তাকে তার পড়াশোনার বেশ কিছু অংশ মুখস্থ করতে হয় কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থীদের পড়া মুখস্থ করার বিষয়টি একদমই কমে গেছে।

এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলে যেমন তেমন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে চলে আসছে কিন্তু যে সকল শিক্ষার্থীর ভালো ভাবে

পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে তারা ভালো ফলাফল করতে পারছে। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পড়া মুখস্ত করার বিকল্প নেই।

বিশেষ করে ইংরেজি গণিত এর মতো বিষয়গুলো যা লিখতে হয় তা অবশ্যই মুখস্ত করে যাওয়া ভালো।

আরও পড়ুনঃ

আজকে আমরা কথা বলবো পড়া মুখস্ত করা গুরুত্বপূর্ণ ও অসাধারণ 10 টি কৌশল নিয়ে। চলুন দেখে নেই কি কি কৌশলে পড়া মুখস্ত করা সম্ভব।

তুমি যেটা শিখছো তা মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করোঃ

এক্ষেত্রে মুখস্ত করলেই হবে না যথেষ্ট পরিমাণ প্রশ্নের উত্তর বুঝতে হবে, যদি তুমি না বুঝে শুধু মুখস্ত করে

যাও তাহলে বেশি দিন সেটা মনে রাখা সম্ভব নয়। তাই তুমি কি পড়ছো তার আগে বোঝো।

এক্ষেত্রে তোমাকে সহযোগিতা করবে অনেক দিন পর মনে রাখতে এবং তুমি যদি ভুলেও যাও কাপড়টুকু। পড়া মুখস্থ

তাহলে যেতে তুমি বিষয়টা বুঝেছ অনেক বিষয় তুমি এক্ষেত্রে যোগ করে একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে।

ছোট ছোট অংশে ভাগ করে মুখস্ত করাঃ

বড় একটি প্রশ্ন একসাথে মুখস্থ করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে তোমার সুবিধামতো তুমি ছোট ছোট অংশে

ভাগ করে সে পড়া মুখস্থ করতে পারো এতে পাওয়াটা বেশিদিন মুখস্থ থাকবেন এবং পরীক্ষার সময় সুন্দরভাবে সেটা লিখতে পারবা।

আরও পড়ুনঃ

আগ্রহ নিয়ে খালি মাথায় পরতে বসোঃ

আমরা যদি টি মুভি দেখতে চাই তাহলে খুব আগ্রহ নিয়ে বসে যে শেষ পর্যন্ত কি হবে পড়ার ক্ষেত্রেই আগ্রহটা থাকতে হবে।

যদি তুমি এই আগ্রহ নিয়ে পড়তে বস তাহলে সে পাওয়াটা তুমি সম্পূর্ণ পড়ে আসতে পারবে নয়তোবা যেমন-তেমন পড়ে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব নয়।

যত বেশি লিখবে পড়া তো মুখস্থ হবেঃ

এক্ষেত্রে তুমি যে পুরোটা পড়ছো চেষ্টা করবা সেটা লেখার বিশেষ করে যখন মুখস্থ হয়ে যাবে তখন প্রতিদিন একবার করে লেখার চেষ্টা করবা।

তাহলে তুমি ভুলবা না তাছাড়া যদি তুমি লেখো তাহলে তোমার কোন জায়গায় পড়াটা ভুলে যাচ্ছ তোমার সমস্যা আছে তাও তুমি বুঝতে পারবা।

গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে চিহ্নিত করে মুখস্ত করাঃ

একটি বইয়ের একটি প্রশ্নের সবকিছু মুখস্থ করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ যে সকল শব্দ রয়েছে তা চিহ্নিত করতে হবে

এবং সেগুলো মুখস্ত করতে হবে তাহলে তুমি পরবর্তীতে সে পয়েন্ট গুলো বিশ্লেষণ করে ভালো একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে।

ঘুমানোর আগে পড়াঃ

কঠিন পড়াগুলো চেষ্টা করবে ঘুমানোর আগে পড়ার জন্য এতে যদি তুমি ঘুমিয়ে পড়ো তখন পড়াগুলো তোমার মস্তিষ্কে জায়গা করে নেবে

এটা বৈজ্ঞানিকভাবে দেখা গেছে যেসব শিক্ষার্থী ঘুমানোর আগে কঠিন বিষয় গুলো পড়ে যায় রাস্তার বেশিদিন মনে থাকে।

নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ

আমাদের একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে ব্যায়াম করলে শারীরিক ভাবে ক্লান্ত লাগে বিষয়টি মোটেও তা নয় ব্যায়াম করলে মানুষের হজম ক্ষমতা

এবং মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তাছাড়া শারীরিকভাবে নিজেকে ফিট রাখা যায় তাই চেষ্টা করবা ছোটখাটো ব্যায়ামগুলো করার জন্য।

পড়ার টপিকের সাথে নিজের লাইফকে ঘটনা মিলিয়ে ফেলাঃ

তুমি গত সপ্তাহে কি দিয়ে ভাত খেয়েছ তা তোমার মনে নেই কিন্তু তুমি দুইমাস আগে তোমার বন্ধুর সাথে কি খেয়েছ তা

কিন্তু তোমার মনে আছে এক্ষেত্রে ইমোশন কাজ করে তুমি যদি একটি বিষয়ে পড়াশোনা করো চেষ্টা

করবে সেটা তোমার লাইফে কোন ঘটনার সাথে যুক্ত করা তাহলে বিষয়টি অনেক দিন মনে থাকবে।

প্রচুর পরিমাণ রিভিশন দিতে হবেঃ

তুমি কি পরছ তা মনে রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ টেলিভিশন তুমি যদি সঠিকভাবে রিভিশন না দাও তাহলে সেটা

বেশিদিন মনে রাখতে পারবে না তাই চেষ্টা করবা প্রতিদিন প্রতি সপ্তায় অন্ততপক্ষে প্রতি মাসে একবার করে রিভিশন দেওয়া।

বিশ্রাম নাও তারপর পড়ঃ

এক্ষেত্রে একটানা অনেকেই তিন চার ঘন্টা পরে দিনশেষে আর কিছুই হয় না তাই একটানে এত পড়া যাবে না

অল্প অল্প বড় অন্ততপক্ষে একঘন্টা পরে পাঁচ দশ মিনিটের ব্রেক নাও এক্ষেত্রে শুধুমাত্র

হাঁটাচলা একটু বাইরে বের হওয়া এরকম বেশ কিছু বিষয়ে ব্যাক নিতে পারো আবার পড়া শুরু করো।

আরও পড়ুনঃ

Back to top button