১ বা ২ মার্ক কারনে অনেক ফেল, কি করছে শিক্ষক – এইচএসসি ২০২৩

দুই এক নম্বরের কারণে অনেক শিক্ষার্থী এইচএসসি ২০২৩ পরীক্ষায় ফেল করেছে। আজকে আমরা সে বিষয়গুলো নিয়ে একটু আলোচনা করতে চাচ্ছি।
তাই তোমরা শেষ পর্যন্ত পড়ো এবং এই বিষয়গুলো জেনে নেও। অনেক শিক্ষার্থী বিষয়গুলো নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তা করছে।
এইচএসসি 2023 নিয়ে আর পড়ুনঃ
- HSC Result 2023 Published Time
- MCQ অনেক ফেল – কিন্তু কেনো ? এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩
- যেভাবে এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ খাতায় নম্বর দিচ্ছে শিক্ষক
- এইচএসসি রেজাল্ট ২০২৩ কিভাবে দেখা যাবে ?
কিন্তু এখানে দুশ্চিন্তা করার কোন কিছুই নেই। আমরা শিক্ষকদের সাথে যখন কথা বলি তারা আমাদেরকে
এ ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ দিয়েছে, আমরা সেই বিষয়গুলো তোমাদের জন্য তুলেছি।
কয়েকজন শিক্ষক যারা কিনা পরীক্ষার খাতা দেখতে তাদের সাথে কথা বলে তারা বলেন পরীক্ষার খাতা অনেক সুন্দর ভাবে তারা দেখেছে।
তারা কোন ধরনের ভুল ত্রুটির মাধ্যমে খাতা দেখেনি, নিজেরা দেখেছে এবং সঠিকভাবে তাদেরকে মূল্যায়ন করেছে।
কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে এক অথবা দুই নম্বরের কারণে কিছু কিছু জায়গায় তিন নম্বরের কারণে অনেক অনেক শিক্ষাকে ফেল করেছে।
পর্যাপ্ত লিখতে না পারার কারণে শিক্ষার্থীরা ফেল করেছে বলে জানিয়েছে শিক্ষকরা। তবে এ ব্যাপারে শিক্ষকরা
বলে আমরা তো আর খাতায় লিখে তারপরে নম্বর দেওয়া সম্ভব না। শিক্ষার্থীরা যতটুকু লিখেছে তার ভিত্তিতে আমার নম্বর দিচ্ছি,
বিশেষ করে ইংরেজি ক্ষেত্রে দেখা গেছে অনেক শিক্ষার্থী সঠিকভাবে লেখেনি একদম ভুল উত্তর দিয়েছে।
কিন্তু তারপর আমরা সেখানে এক অথবা দুই নম্বর দিয়েছি। যেখানে শিক্ষার্থী অনায়াসে পাশ করে ফেলেছে।
এভাবে শিক্ষকরা বলে কয়েকটি বিষয় শিক্ষার্থীরা একদমই সৃজনশীল লিখতে পারেনি, মাত্র দুইটি তিনটি সৃজনশীল
লিখেছে যা আবার ভুল লিখেছে। সেখানে আমরা কিভাবে নম্বর দিয়ে তাদেরকে পাশ করিয়ে দিবো।
এক্ষেত্রে শিক্ষকরা বলেন
আমরা চেষ্টা করেছি তাদেরকে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার, এক অথবা দুই নম্বর বাড়িয়ে দিতে থেকে পাশ করিয়ে দেওয়ার
এইচএসসি 2023 নিয়ে আর পড়ুনঃ
- এইচএসসি রেজাল্ট ২০২৩ প্রকাশের তারিখ নির্ধারণ
- এইচএসসি ২০২৩ সকলকে ২ টি উপবৃত্তি পাবে – সকল তথ্য জানুন
- সুসংবাদ ও দুঃসংবাদ এইচ এস সি ২০২৩ খাতা দেখা নিয়ে
- অনেক শিক্ষার্থী ফেল – কিন্তু কোন বিষয়ে ? এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩
সর্বোচ্চ চেষ্টা আমাদের ছিল। এক্ষেত্রে আমরা প্রধান পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠিয়েছি, প্রধান পরীক্ষক
যদি মনে করে সেখানে নাম্বার আরো বাড়িয়ে দিয়ে পাস করিয়ে দেওয়া যেতে পারে তাহলে তিনি যা করে দেবে।
তবে সব বিষয়ে যে এরকম রেজাল্ট খারাপ এসেছে তা কিন্তু নয়। অন্যান্য সাবজেক্টগুলোতে অনেক ভাল ফলাফল এসেছে।
সবচেয়ে বেশি খারাপ ফলাফল এসেছে মূলত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়। তাছাড়া পদার্থ বিজ্ঞান প্রথম পত্র হিসাব বিজ্ঞান
দ্বিতীয় পত্র যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্রসহ কয়েকটি বিষয় প্রশ্ন কঠিন হওয়ার কারণে একটু রেজাল্ট খারাপ হতে পারে।
বায়োলজির বহুনির্বাচনি তে খুবই খারাপ অবস্থা দেখা দিবে সামনে। কারণ বেশিরভাগ বোর্ডই উদ্ভট প্রশ্ন করছে! মেডিকেল স্ট্যান্ডার্ড বলা যায়। সবাই কম পাবে, ২-৩ নাম্বারের জন্য অসংখ্য শিক্ষার্থী ফেল করবে। তাই এদিকে প্রধান বোর্ড কর্মকর্তার অনুগ্রহপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ রইলো
আমাদের মধ্যে অনেকের আইসিটি এমসিকিউ ৫ .৬…. হয়েছে এ ক্ষেত্রে সকলের দিক বিবেচনা করে আইসিটি এমসিকিউ এর বিষয়ে সহনশীল হতে প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এর প্রতিঅনুরোধ রইল। একটা বিষয় এ অকৃতকার্য হলে অনেক ছেলে মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে তাই স্যার এর প্রতি অনুরোধ রইল